শ্রেণিকক্ষে সক্রিয় শিখনের পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুদের শিখনকে কার্যকরা করা যায়। আধুনিক শিক্ষাবিজ্ঞানে সক্রিয় শিখন অত্যন্ত পরিচিত ও কার্যকরি পদ্ধতি। সক্রিয় শিখন পদ্ধতিতে শ্রেণিকক্ষে শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের সময় সক্রিয় অংশগ্রহণ করা সুযোগ থাকে, মতামত দান ও কাজ করে শেখার সুযোগ থাকে। সক্রিয় শিখন পদ্ধতি বাস্তবায়নের অনেকগুলো টেকনিক আছে।
এই পদ্ধতি প্রয়োগের পূর্বে শিক্ষার্থীদের ধারণা দিতে হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো মতামত বা ধারণাকে মূল্যায়ন করা যায়। একটি শ্রেণিকক্ষে সবাই বিভিন্ন রকম মত দিতে পারে। কার ধারণা কতটা যুক্তিযুক্ত যাচাই করা যায় এই পদ্ধতির মাধ্যমে।
শুরুতে বোর্ডে বা দেয়ালে অনেকগুলো অপশন বা ছবি দেয়া যেতে পারে। তারপর শিক্ষার্থীদের হাতে গোল ডোট স্টিকার দিতে হবে। ডট স্টিকারে ইচ্ছেমতো নম্বর দেয়া যেতে পারে। অথবা এমনটা বোঝানা যেতে পারে যে লাল ডোট চিহ্নিত স্টিকারগুলো পছন্দের অপশনে লাগাবে আর নীল ডোট চিহ্নিত স্টিকারগুলো অপছন্দের অপশনে লাগাবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত পিকনেকে যাবার জায়গা নির্বাচনে ভোট দিতে বা শ্রেণিকক্ষে নেতা নির্বাচন করতে এই পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারে। পরে শ্রেণি শিক্ষকের সহায়তায় কার মতামত কতটা গুরত্বপূর্ণ তা জানা যাবে।লেখক: গবেষক
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]