দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় একটি স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছেন এক নারী; এতে পাঁচ ছাত্রী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান।
আহতরা হল- উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের রেজানুর রহমানের মেয়ে সেতু খাতুন (১৩), একই ইউনিয়নের চিকনী গ্রামের মিলন মিয়ার মেয়ে মিতু খাতুন (১৪) এবং একই ইউনিয়নের আরজী জামালপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে রাবেয়া খাতুন (১৩)।
পুলিশ জানায়, তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত সুমনা ও তাপসীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতার জান্নাতী আকতার (২১) উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী।
আহত সেতু খাতুন বলেন, ক্লাস শুরুর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোরকা পরিহিত এক নারী হঠাৎ তাদের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে কিছু বুঝে উঠার আগেই তার পেটে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে। এ সময় সে হাত দিয়ে ছুরিটি ধরে ফেলে। এতে করে তার বাম হাত কেটে যায়। এরপর এলোপাতাড়ি আরও চারজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে।
আহত মিতু খাতুন বলেন, “এরপর ওই মহিলা আমার পিঠে ছুরিকাঘাত করে।”
আহত রাবেয়া খাতুন বলেন, তার দুই পায়ে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে ওই নারী।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খন্দকার আব্দুল্যা হেল আল মামুন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে হইচই শুনে শিক্ষক-কর্মচারীরা ষষ্ঠ শ্রেণিকক্ষের দিকে এগিয়ে যান। গিয়ে দেখেন শিক্ষার্থীরা হুড়াহুড়ি করে ক্লাস থেকে বের হয়ে আসছে। এর মধ্যে চার-পাঁচজনের শরীর থেকে রক্ত ঝরে পড়ছিল।
তিনি বলেন, “পরে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ওই মহিলাকে দেখতে পাই। তখন তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাহীনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, আহত তিন শিক্ষার্থী এখন শঙ্কামুক্ত। তবে তারা খুবই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
ওসি শফিকুল বলেন, ওই নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি দেশি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী একেক সময় একেক কথা বলছেন; তবে পরিবারের লোকজন তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করছেন বলে জানান ওসি।