অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমে লিখিত বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের টেন্ডার ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। কিন্তু স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা নিযুক্ত হন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। যোগদান করার পরপরই তিনি বলেন, সেই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। কাজেই স্বল্প সময়ের মধ্যে সেই শিক্ষাক্রমের ওপর লিখিত বই প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে আসন্ন ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।
তারপর দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তায় ‘বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরো কেনো এক বছর ভুগবেন?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদটি দ্রুতই শিক্ষা উপদেষ্টার নজরে আসে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজস্ব পরিমণ্ডলে বলেন, প্রয়োজনে টেন্ডার বাতিল করা হবে, তবুও শিক্ষার্থীদের ভোগানো যাবে না।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নতুন কারিকুলাম ও বই নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভিন্নতা থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেউ কেউ এনসিটিবিতে যোগাযোগ করছেন। গত রোববার এনসিটিবির এক কর্মকর্তা বলেন, অনেক গণমাধ্যমে এ জাতীয় অনেক সংবাদ ছাপা হচ্ছে, যেগুলোর একটির সঙ্গে অন্যটির কিছুটা গরমিল দেখা যায়। ফলে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সবাই কিছুটা ঘোরের মধ্যে পড়ে যান। যেমন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই কিছুটা পরির্মাজন করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। পুরোটা পরিবর্তন হবে না, করার সে রকম হয়তো প্রয়োজনও নেই। তবে কেউ কেউ বলেছেন, পুরনো কারিকুলাম অনুযায়ী এই তিন শ্রেণির বই অনেক বিদ্যালয়ে আছে, এনসিটিবির ওয়েবসাইটে আছে, কাজেই সেই বই দিলে ঝামেলা কম হবে। কিন্তু এনসিটিবি সূত্র বলছে, এই তিন শ্রেণির বই পরিবর্তন হচ্ছে না। খুব সামান্য কিছু যেমন : চলতি শিক্ষাবর্ষের বইয়ের প্রচ্ছদে অনেককিছু আছে যেগুলো দরকার নেই, সেগুলোই বাদ দেওয়া হবে। পৃষ্ঠা ও কিছু কনটেন্টেও কিছু যোগ করা হবে।
এদিকে পাঠ্যবইয়ের ছাপাখানার মালিকরা তাদের নিজ নিজ স্বার্থে কিছু কিছু প্রচার ও অপপ্রচার এবং দাবিদাওয়া উত্থাপন করে চলছেন। এনসিটিবির কর্তাদের প্রভাবিত করার নানা ফন্দি করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটা গ্রুপ চাচ্ছিলেন কোনোভাবেই যেনো টেন্ডার বাতিল না হয়। তবে সব উদ্যোগ বৃথা গেলো। টেন্ডার বাতিলের পথেই এগুলো সরকার।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।