বগুড়ায় দুপচাঁচিয়ার ঐতিহ্যবাহী কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় স্থানীয় সংসদ সদস্যের অবহেলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার অন্য প্রতিষ্ঠানে কিছু কাজ করার কথা শোনা গেলেও কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে কোনোরকম ছোঁয়া লাগেনি।
কোনোভাবে টিনের চালাঘরে চলছে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠদান। প্রায় তিনশত ছাত্রছাত্রীর পাঠদানের জন্য রয়েছে ১১ শিক্ষক। অফিস সহকারী ও পিয়নসহ রয়েছে আরও ৫ কর্মচারী।
বর্তমানে টিনশেড ভবনের জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি শ্রেণিকক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। একটু বৃষ্টি হলেই টিনে ছিদ্র দিয়ে পানি ঢুকে ভিজে যান শিক্ষার্থীরা। সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেহাল। বৃষ্টি হলেই কাদাপানি পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে পড়ালেখা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন মেরামত এবং নতুন ভবন তৈরি করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে অনেক আগেই। ভবনের জন্য বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও এখনও ভবন নির্মাণের বিষয়ে কোনো সুখবর মেলেনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফেরাজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষা সরঞ্জামাদি সংশ্লিষ্ট সমস্যা থাকলেও সবচেয়ে বড় সমস্যা অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ শ্রেণিকক্ষের সমস্যা। বিদ্যালয়টির ঐতিহ্য ধরে রাখতে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এই আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের না হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আন্তরিক নয়। বেআইনিভাবে ইচ্ছেমতো কাজ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ রাখেন না তিনি।
অভিযুক্ত সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদার দাবি করেন যা কিছু করেছি, নিয়ম মাফিকই করেছি। সম্প্রতি কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য যাবতীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সময় লেগেছে।