দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এদিন শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ, যা শেষ হবে ২০২৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় দেওয়া ক্ষমতাবলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ অধিবেশন আহ্বান করবেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন এবং দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন। ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়। আওয়ামী লীগ গত বুধবার তাদের সংসদীয় দলের সভায় স্পিকার পদে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার পদে সামসুল হক টুকুকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম দিন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন ছাড়াও অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন, শোক প্রস্তাব ও অধ্যাদেশ উত্থাপন (যদি থাকে), সংসদীয় কমিটি গঠন (যদি থাকে), সংবিধান বা আইন অনুযায়ী কোনো রিপোর্ট উপস্থাপন (যদি থাকে) ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ থাকে। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রশ্নকাল থাকে না।
রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতি অধিবেশনেই পাঁচজন করে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে একজন নারী সদস্যকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
সংসদ অধিবেশন সম্পর্কে জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেও সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের মেয়াদ রয়েছে। ফলে এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন সংসদের অধিবেশন বসার সুযোগ নেই। এর পরই অধিবেশন হবে। তবে সংসদ অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আমি এখনও পাইনি। রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে অধিবেশন আহ্বান করবেন।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২৩ আসনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। গতকাল মন্ত্রিসভার শপথের মধ্য দিয়ে এ সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।