চাকরির স্থায়ীকরণসহ নানা দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে আনসার সদস্যরা। এ সময় সেখানে আটকা পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়কও অবরুদ্ধ হয়ে গেলে তাদের ছাড়াতে গিয়ে আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় কয়েকজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
চাকরি জাতীয়করণসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন আনসার সদস্যরা। তাদের এ আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ পড়েন ব্যাপক ভোগান্তিতে।
রোববার আন্দোলনের এক পর্যায়ে আনসার সদস্যরা বাধা উপেক্ষা করেই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান নিতে থাকেন। পরে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনসারদের ৬ মাসের রেস্ট প্রথা আর থাকবে না। এটি বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয়করণের দাবি সুপারিশ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।’
তবে এরপরও সচিবালয় থেকে অবরোধ তুলে নেয়নি আন্দোলনকারী আনসার সদস্যরা। এ সময় তাদের অবরোধে সচিবালয়ে আটকা পড়েন ক্রীড়া উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের হাজারের বেশি কর্মকর্তা–কর্মচারী।
এক পর্যায়ে রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজেদের অবরুদ্ধ হওয়ার কথা জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান।
এই স্ট্যাটাসের পর আরেক সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লাহ মাহফুজ এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘উপদেষ্টা নাহিদ ভাইসহ হাসনাত ও সার্জিস ভাইকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা। আমরা সবাই মিলে সচিবালয়ে মার্চ করে তাদেরকে মুক্ত করে নিয়ে আসব। সবাই যোগ দিন, বিষয় সবাইকে অবগত করুন, অতীব জরুরি......’
পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হয়ে লাঠি ও রড নিয়ে সচিবালয়ের দিকে রওয়ানা হন। সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। পুরো এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।