দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: সনদ বাণিজ্যে অভিযুক্ত ও চাকরিচ্যুত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্টের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আতংকে রয়েছেন আরো কয়েকজন। অনুসন্ধানে জানা যায়, এডুকেশন বাংলা নামে একটা ওয়েবসাইট খুলে সেটাকে চাঁদাবাজির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ বহু বছরের পুরনো। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দুইদিন খুব হম্বিতম্বি করার পর আতংকে রয়েছেন জসীম উদ্দিন নামের একজন সাংবাদিক নামধারী শিবির নেতা যিনি এডুকেশন বাংলার উপদেষ্টা সম্পাদকও। কথিত নির্বাহী সম্পাদক আল মামুন। জেসমিনের নামে ওয়েবসাইটের ডোমেইন। ফোন নম্বর : ০১৭০৭০৭৩১৭১। এই দুইজনের কারো স্ত্রী হতে পারেন জেসমিন এমন সন্দেহ অনেকের। ঘুষ ও চাঁদাবাজির নিবন্ধিত ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা ওই ওয়েবসাইটের ঠিকানা ৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা। যেখানে গত কয়েকবছর ধরে সনদ বাণিজ্যের প্রচুর টাকা লেনদেন হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। ঘুষের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার দুইদিন পর থেকে ওয়েবসাইট থেকে প্রথমে হোল্ডিং নম্বর পরে পুরো সাইটটিই ইনএকটিভ করে দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫৮ বছর বয়স্ক একজন বিনা বেতনের জুনিয়র শিক্ষা সাংবাদিক আমানুর রহমানও আতংকে। অভিযুক্ত তিন শিক্ষা সাংবাদিকের কমিশন। এই আমানুর মূলত যাত্রাবাড়ী এলাকার জামায়াত নেতা ও জমি দখলকারী। তিনিসহ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েকডজন ফৌজদারি মামলা। বিএনপি জামাত জমানায় জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের সাংবাদিক পদে চাকরি করতেন। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাসিঁতে ঝোলা মীর কাশেমের মালিকানাধীন নয়া দিগন্তে ও সর্বশেষ আয়আয়দিন নামের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় বিনা বেতনে সাত বছর ধরে চাকরি করছেন আমানুর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুইফোঁড় অভিভাবক ফোরাম নামক এক দোকানের প্রধান বিক্রয়কর্তা ও বিএনপি নেতা এবং বরখাস্ত অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়ার জনসংযোগের কাজের বিনিময়ে কিছু টাকা পেতেন আমানুর। কিন্তু ২৪ বছরের বাংলা সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার পরও শুদ্ধভাবে একলাইনও বাংলা লিখতে না পারায় সেলিম ভুইয়া টাকা দেওয়া বন্ধ করেছেন বলে জানা যায়। লুদু ও আমানুরের ছিলো মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষকদের ব্লাকমেইল করার ব্যবসা। জামাত নেতার নিজামীর সুপারিশে আমানুর আইডিয়ালে ছাত্র হয়েছিলেন বলেও জানা যায়।
পারিবারিকভাবে জামাত ও বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত দৈনিক সমকালের শিক্ষা সাংবাদিক সাব্বির নেওয়াজ ও ইত্তেফাকের নিজামুল হক এবং দৈনিক দেশ রূপান্তরের সাবেক ও বর্তমানে কালের কন্ঠের শিক্ষা সাংবাদিক শরীফুল আলম সুমনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠলে সমালোচনা শুরু হয় সাংবাদিক মহলে। অভিযুক্তদের বাদ দেয়ার দাবি ওঠে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য দেওয়া-নেওয়ার একটি গ্রুপ থেকে। এর প্রতিবাদে আমানুর ১৮ শব্দের দুই লাইন ইংরেজি লেখেন। যার পুরোটাই ভুল।
কয়েকমাস আগে এই ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও দেখা গেছে মোহাম্মদ কিশলয় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের একজনের। যার সঙ্গে রয়েছে ঘুষকান্ডে অভিযুক্ত সুমন ও নিজামদের সখ্য।