গত শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে যে, গত ২৫ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী সিভাসুকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
সমাবেশে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি, চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে হিন্দুদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। মাঝখানে কিছুদিন থেমে গিয়েছিলো। আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে।’
সিভাসু কর্তৃপক্ষ মনে করে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামহানি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তিনি সিভাসু সম্পর্কে এমন বক্তব্য প্রদান করেছেন- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সিভাসু কর্তৃপক্ষ দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায় যে, সিভাসুতে এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং শুরু থেকে অদ্যাবধি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে-যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। তাই, সিভাসু কর্তৃপক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর উক্ত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের ওই গণসমাবেশে চট্টগ্রাম শহর ও বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা থেকে সনাতনীরা মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্ব করেন।