কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। গোলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচে। শুধু ওই ম্যাচ নয়, গোটা বিশ্বকাপেই ব্রাজিলের মোট গোলের পরিমাণ আরও বাড়ত। কাতারে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গোলের সুযোগ নষ্ট করা এক মাত্র দল হচ্ছে ব্রাজিল।
চলতি বিশ্বকাপে ব্রাজিল বিশ্বকাপ অভিযাত্রা শুরু করেছিল সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে। জোড়া গোল করেছিলেন রিচার্লিসন। এর একটি তো ছিল দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিক। দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গোলের বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে দল যখন কিছুটা ব্যাকফুটে, ঠিক তখনই ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছিলেন ক্যাসিমিরো। তার গোলে ব্রাজিল সে ম্যাচ জিতেছিল ১-০ গোলে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তো ক্যামেরুনের কাছে ১-০ গোলে হেরেই বসলেন সেলেকাওরা। যদিও সে ম্যাচে ব্রাজিলের দ্বিতীয় সারির দল খেলেছিল। কিন্তু ক্যামেরুনের বিপক্ষে গোলের সুযোগ এসেছিল যথেষ্টই।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে ৩৬ মিনিটের মধ্যে ৪-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বিরাট এক জয়েরই স্বপ্ন দেখেছিলেন ব্রাজিল সমর্থকরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কোনো গোল করতে পারেননি নেইমার-রিচার্লিসনরা।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল মিস করা দল ব্রাজিল। পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান সোফাস্কোরের হিসাবে চার ম্যাচে ব্রাজিল ১২ গোল করার পরিষ্কার সুযোগ নষ্ট করেছে, এটি সর্বোচ্চ। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে জার্মানি— প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়া দলটি ১১ পরিষ্কার গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে।
আর্জেন্টিনা আছে তৃতীয় স্থানে— তারা নষ্ট করেছে ১০ পরিষ্কার গোলের সুযোগ। এর পর পরই আছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়া। এরা প্রত্যেকেই সাতটি করে পরিষ্কার গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। এই হিসাব ব্রাজিলের আক্রমণাত্মক ফুটবলেরই প্রমাণ। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ব্রাজিল ১৫ গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। এ তালিকায় এগিয়ে আছে জার্মানি। তারা তিন ম্যাচেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ১৭টি। ফ্রান্স তৈরি করেছে ১৩টি।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল করা দল ইংল্যান্ড ১২টি। ফ্রান্স আছে দ্বিতীয় স্থানে, তাদের গোল ৯টি, স্পেনের গোলও ৯টি। নেদারল্যান্ডস গোল করেছে ৮টি। ব্রাজিলের গোল ৭টি। সমান ৭ গোল আর্জেন্টিনারও।