সবুজ ক্যাম্পাস গড়তে ‘গাছ লাগাই, রক্ষা করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার ২০ টি বুদ্ধ নারিকেল গাছের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সূচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, গাছ শুধু লাগালেই হবে না, সেগুলো রক্ষাও করতে হবে। কেননা গাছ লাগানো এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। ফেসবুকের কারণে এটি হয়ে উঠেছে মহা হুজুগ। গাছ লাগিয়ে সেগুলো পরিচর্যার মাধ্যমে রক্ষা করাই বড়ো চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমাদের নিতে হবে। গাছ রক্ষা করে তাতে ফুল ফোটাতে হবে। নিসর্গপ্রেমী ছাড়া এটি অন্যকেউ ভালোভাবে জানেন না। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসকে একটি সবুজ নন্দন কানন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তারই অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ করা হবে।
বৃক্ষরোপণ নিয়ে প্রশাসনের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, এবার যে গাছগুলো লাগানো হবে, অন্তত ৫০ বছর সেই গাছগুলো বাঁচবে। ইটের রক্ষা-বেষ্টনি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে গাছগুলোকে বিরূপ-পক্ষের হাত থেকে বাঁচানো যায়। এ ব্যাপারে সকলের বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতা কাম্য।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিত গাছ লাগানো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ধারাবাহিক কাজ। এর অংশ হিসেবে মাঠের দুই পাশে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে বৃক্ষরোপণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃক্ষরক্ষার জন্য ইটের বেষ্টনী তৈরীর কাজও এগিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য বর্ধন কমিটির সদস্য সচিব দ্রাবিড় সৈকত।
তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় পুরো ক্যাম্পাসে প্রায় আট শতাধিক গাছ লাগানো হবে। এর মধ্যে আছে রক্তন, বুদ্ধ নারিকেল, সুলতান-চাঁপা, উদাল, সুপারি, অশোক, নাগলিঙ্গম, কুরচি, লোহা, গর্জন, শিমুল, পলাশ, আমলকি, বহেরা, হরতকি, নাগেশ্বর, পুত্রঞ্জীব, ঢাকিজাম, লাল সোনাইল, টিকোমা, সিভিটসহ নানা প্রজাতির গাছ। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় মাঠের চারপাশে ২৯৫টি চারা ও বাকিগুলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় রোপণ করা হবে। এসব গাছের মধ্যে যে ভিন্নতা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ক্যাম্পাস যেমন সবুজ হয়ে উঠবে তেমনি বৃক্ষবৈচিত্র্যে ভরে উঠবে।