সরকারি অ্যাপে মন্ত্রীর শ্যালকের ছেলের ব্যবসা - দৈনিকশিক্ষা

সরকারি অ্যাপে মন্ত্রীর শ্যালকের ছেলের ব্যবসা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সরকারের টাকায় কেনা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ দখলে নিয়ে নিজেদের নামে করেছেন লিমিটেড কোম্পানি। আর এখন সেই কোম্পানির নামে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। অথচ তিনি বলে আসছেন এটা সরকারের অ্যাপ নয়। এটা তার নিজের। কিন্তু গণমাধ্যমের এ-সংক্রান্ত কিছু তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয় অ্যাপটি সরকারের। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট কেউই মুখ খুলছিলেন না। এরপর অ্যাপটি সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে মামলা করে একটি জাতীয় পত্রিকা। আইনি লড়াই শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে এই অ্যাপটি সরকারের। কিন্তু যিনি এটি নিয়ে ব্যবসা করছেন, তিনি এটি নিজের দাবি করলেও মন্ত্রণালয় থেকে যে জবাব দেয়া হয়েছে তাতে পাওয়া গেছে ভিন্ন চিত্র।  সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন ইমতিয়াজ সনি।

যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের আত্মীয়। আর যে অ্যাপটি দখল করা হয়েছে, সেটিও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের।

সরকারি টাকায় অ্যাপ কেনা মানে সেটি শতভাগ সরকারের সম্পত্তি। অথচ আইন অমান্য করে সরকারি এই অ্যাপ দখল করে পরিচালনা করছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের শ্যালকের ছেলে নামির আহমেদ।

অবশ্য নামির আহমেদ দাবি করেন, সব নিয়মকানুন মেনেই তারা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ পরিচালনা করছেন। এটি কখনোই সরকারের কেনা অ্যাপ নয়। এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। তিনি বলেন, “আমি বাংলা ট্র্যাক কমিউনিকেশনের একজন নমিনি পরিচালক। আর বাংলা ট্র্যাকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান থ্যান সিস্টেমও ‘আমিই প্রবাসী লিমিটেড’।”

প্রবাসী কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন, ট্রেনিং, প্রার্থী বাছাই, স্মার্টকার্ড প্রদান প্রভৃতি কাজ করে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ। এ জন্য বিদেশগামীদের কাছ থেকে বিভিন্ন হারে সার্ভিস চার্জ নেয়া হয়।

যদিও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে ভিন্ন চিত্র। নামির আহমেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ বিষয়ে তথ্য চাইলে তারা সাড়া দেয়নি। পরে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ আগস্ট তথ্য অধিকার আইনে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করা হয়। এরপর ভার্চুয়াল আদালতে ভিন্ন ভিন্ন তিন দিন এ বিষয়ে শুনানি শেষে গত বছরের ৯ নভেম্বর প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী খালেদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম, ডক্টর আব্দুল মালেক ও প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ সরকারি নাকি বেসরকারি তা জানাতে এবং এর কার্যাদেশের কপি দেয়ার আদেশ দেন। সে সময় তথ্য কমিশনারদের সামনে মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আমাকে বলেছে এটা (আমি প্রবাসী অ্যাপ) একটা সরকারি অ্যাপ। কিন্তু এটা পরিচালনা করছে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান।’

এই রায়ের পর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমকর্মীকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মির্জা শাকিলা দিল হাছিন স্বাক্ষরিত সেই চিঠিতে তথ্য কমিশনে চাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের জবাবসংবলিত চিঠি নেয়ার জন্য বলা হয়।

মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া দুই পৃষ্ঠার চিঠির মধ্যে প্রথম চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক অভিবাসী কর্মীদের তথ্যপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণে ‘আমি প্রবাসী’ একটি মাইগ্রেশন ইনফরমেশন অ্যাপস সেবা।

‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ যে মন্ত্রণালয় কিনেছে সে-সংক্রান্ত কার্যাদেশের কপিও দেয়া হয় গণমাধ্যমে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সামছুল ইসলামের স্বাক্ষরিত কার্যাদেশের কপিতে দেখা যায়, ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকায় সরবরাহের জন্য থ্যান সিস্টেম প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি চিঠিতে দেখা যায়, ‘২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব কাঞ্চন বিকাশ দত্ত স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত কর্মসূচির অধীন থ্যান সিস্টেম কর্তৃক দাখিলকৃত প্রস্তাবিত ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ্লিকেশনটির বিধি মোতাবেক প্রকিউর করার জন্য অনুমোদিত নোটশিট এবং অন্যান্য কাগজপত্র এতদসঙ্গে নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, কার্যাদেশসহ এসব চিঠিতেই স্পষ্ট এটা একটা সরকারি অ্যাপ, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কেউ মুখ খুলবে না। কারণ এই অ্যাপ দখল করে যিনি ব্যবসা করছেন সেই নামির আহমেদ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের শ্যালকের ছেলে।

তিনি বলেন, এই অ্যাপ কেনার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সরবরাহের প্রতিটি ধাপেই যুক্ত ছিলেন নামির আহমেদ। তার কোম্পানি ‘বাংলা ট্র্যাক’-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান থ্যান সিস্টেম থেকে অ্যাপটি কেনা হয়। সে সময় নামির আহমেদ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সভায়ও উপস্থিত ছিলেন। অথচ এখন তিনি অ্যাপটি লিমিটেড কোম্পানি করে নিজেই মালিক বনে গেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অ্যাপটি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তবে উদ্বোধন হলেও কখনোই অ্যাপ বুঝে নেয়নি মন্ত্রণালয়। সেই সুযোগেই নিজেদের নামে লিমিটেড কোম্পানি করে নিয়েছেন নামির আহমেদ। উল্টো অ্যাপ পরিচালনার জন্য ওই কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে মন্ত্রণালয়। যেখানে লভ্যাংশের অর্থের ৯০ শতাংশ পাবে বাংলা ট্র্যাক আর মাত্র ১০ শতাংশ পাবে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী এই ১০ শতাংশের একটি টাকাও আজ পর্যন্ত পায়নি মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইতিমধ্যে অ্যাপ থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আয় হয়েছে।

জয়েন্ট স্টকে নিবন্ধিত ‘আমি প্রবাসী’

যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (জয়েন্ট স্টক) থেকে পাওয়া ‘আমি প্রবাসী’র নথির কিউআর কোড স্ক্যান করে দেখা যায়, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ অক্টোবর আমি প্রবাসী লিমিটেড জয়েন্ট স্টকে নথিভুক্ত হয় বাংলা ট্র্যাকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। অথচ এর ছয় মাস আগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মে মন্ত্রী, সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি উপস্থিতি থেকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে এই অ্যাপ উদ্বোধন করেন। অর্থাৎ সরকার অ্যাপটি উদ্বোধন করার সময়ও এটি লিমিটেড কোম্পানি হয়নি। হয়েছে উদ্বোধনের ছয় মাস পর।

এ ছাড়া জয়েন্ট স্টকের নথির তথ্য বলছে, আমি প্রবাসী লিমিটেডের ৯৯ হাজার ৯৯৯টি শেয়ারের মালিক বাংলা ট্র্যাক কমিউনিকেশন লিমিটেড। যার ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর সড়কের ৬৮ নম্বর বাড়ি। এই বাংলা ট্র্যাক কমিউনিকেশনের একজন পরিচালক মন্ত্রীর ভাগনে নামির আহমেদ। আর একটি শেয়ারের মালিক তারেক ইকরামুল হক নামে একজন। যার ঠিকানা হিসেবে দেয়া আছে গুলশান-২-এর ১০ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর ভবন।

বাংলা ট্র্যাকের পরিচালক নামির আহমেদ বলেন, ‘আমি প্রবাসী অ্যাপ কখনোই সরকারি অ্যাপ ছিল না। এটা বাংলা ট্র্যাকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সরকার যেটা আমাদের আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান থ্যান সিস্টেম থেকে কিনেছিল, সেটা ছিল একটা ইনফরমেশন সার্ভিস সেবা। সেটা কখনোই আমি প্রবাসী অ্যাপ না। এই অ্যাপ ডেভেলপ থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা বা প্রস্তাবিত চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি। প্রতিটি পদক্ষেপই আইন মেনে হয়েছে।’

তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে পাওয়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত চিঠি বলছে, এটি সরকারি অ্যাপ এবং এর কার্যাদেশের একটি কপিও তারা সংযুক্ত করেছে। তাহলে আপনি কীভাবে বলছেন এটা বেসরকারি অ্যাপ- এমন প্রশ্নের উত্তরে নামির বলেন, ‘আপনি আর দুই-এক দিন অপেক্ষা করেন, যেই কর্মকর্তা আপনাকে চিঠি দিয়ে বলেছে এটা সরকারি অ্যাপ, সেই কর্মকর্তাই আবার আপনাকে চিঠি দিয়ে জানাবে এটা বেসরকারি অ্যাপ।’

নামির আহমেদ বলেন, ‘আপনি যদি এটা নিয়ে নিউজ করেন, তাহলে আমি আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করব।’

এরপর প্রতিবেদকের মেসেঞ্জারে একটি অ্যাপসের লিংক পাঠিয়ে বলেন, সরকার যেটা কিনেছিল এটা সেই ইনফরমেশন সার্ভিস সেবার লিংক। যেটা গুগল প্লে স্টোরে দেয়া আছে।

নামিরের পাঠানো লিংকে ক্লিক করে দেখা গেল অ্যাপটির নাম ‘মাইগ্রেশন ইনফো’। যেটি থ্যান সিস্টেম থেকে তৈরি করা হয়েছে। এরপর এই অ্যাপটির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে উঠে আসে আরেক চিত্র। অ্যাপ ইনফোতে বলা হচ্ছে, এই ‘মাইগ্রেশন ইনফো’ অ্যাপটি গুগলে রিলিজড হয়েছে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি। অথচ মন্ত্রণালয় থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ কেনার কার্যাদেশ দিয়ে বলা হয়, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই অ্যাপ সরকারকে সরবরাহ করতে হবে, না হলে কার্যাদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। এরপর তারা সেটা সাত দিনের মধ্যেই অ্যাপটি সরকারকে বুঝিয়ে দেয় এবং ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মে আমি প্রবাসী অ্যাপ উদ্বোধন হয়। অর্থাৎ সরকারের কেনা অ্যাপটিই হলো ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ। ‘মাইগ্রেশন ইনফো’ অ্যাপটি কখনোই সরকারের কেনা অ্যাপ না।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘মন্ত্রীর নিকটাত্মীয় হওয়ায় এবং বিএমইটি (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) মহাপরিচালকের একান্ত সহযোগিতায় নামিরের এই ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ দখল করতে কোনো ঝামেলাই পোহাতে হয়নি। তবে অপরাধী অপরাধ করলে একটা না একটা ক্লু ফেলে রেখে যায়, তেমনি নামিরের এই বাংলা ট্র্যাকও ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি দখল করতে গিয়ে অসংখ্য প্রমাণ রেখে গেছে। যেগুলো আদালতে একবার গেলেই সবকিছুর সুরাহা হয়ে যাবে। সরকারি কাগজ-কলমের এত ডকুমেন্ট লুকিয়ে তারা এটা দখল করতে পরবে না। তবে নামিরের ফুপা মন্ত্রী থাকাকালে হয়তো তার কিছুই হবে না।’

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মির্জা শাকিলা দিল হাছিন বলেন, ‘আমি আপনাকে যে কাগজ দিয়েছি ওটাই আমাদের (মন্ত্রণালয়ের) কথা। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পরব না। আপনারা সাংবাদিক, আপনারা উন্মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন; কিন্তু আমাদের হাত-পা বাঁধা। আমরা ইচ্ছা করলেই সবকিছু বলতে পারি না। আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে তাহলে আপনি সচিব স্যারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’

পরে এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমেদের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন এবং এসএমএস দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনিও কোনো সাড়া দেননি। আর মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন এসএমএসের মাধ্যমে জানান, ‘এই অ্যাপ সম্পর্কে বিএমইটির (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) ডিজির সঙ্গে কথা বলুন। তিনিই এ বিষয়ে সব তথ্য দিতে পারবেন।’

এরপর বিএমইটির (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শহীদুল আলমের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040140151977539