কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত না থাকলেও স্থানীয় শিক্ষা অফিসের নির্দেশে সোনারগাঁওয়ে খোলা রাখা হয়েছে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল রবিবার উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে- শিক্ষকরা যথারীতি অফিস করছেন। তবে কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুলে দেখা যায়নি। ফলে শিক্ষকদের অনেকটা অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
স্কুল খোলার খবর পেয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের অনেকেই ও বিদ্যালয়ে এসে ফেরত যেতেও দেখা গেছে। বিদ্যালয় খোলা রেখে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন বলেও কয়েকজন অভিভাবক দাবি করেন।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও উপজেলা শিক্ষা অফিস বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তবে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্তই শিক্ষকদের তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে অবস্থান করতে হচ্ছে।
উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের খাসেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল আউয়াল জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে কোনো রকম শ্রেণি কার্যক্রম ছাড়াই বিদ্যালয়ে আমরা অফিস সময় পর্যন্ত অবস্থান করছি।
এ ব্যাপারে ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিপ্লব জানান, বিদ্যালয় খোলা রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিস হয়তো বলতে পারবে। সোনারগাঁও উপজেলা শিক্ষা
কর্মকর্তা দৌলতর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আই সিটি) হামিদুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে দাপ্তরিক কাজের জন্য হয়তো শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে গিয়ে থাকেন।