ভর্তি নীতিমালার সংশোধনী অনুযায়ী চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি স্কুলগুলো মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সহোদর-সহোদরা শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ভর্তি নীতিমালার সংশোধনী অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ নির্দেশনা দিয়ে সব জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠিয়েঠে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। গতকাল রোববার চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।
গত ১৫ মার্চ সিনিয়র সহকারী সচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ও সর্বশেষ সংশোধনী মোতাবেক সহোদর-সহোদরা বা যমজ ভাই-বোনোর ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত ৫ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৫ জানুয়ারি এ নীতিমালা দুইটি অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করেছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি স্কুলের ভর্তি নীতিমালার ১২ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধনীতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলো, কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর-সহোদরা বা জমজ ভাই-বোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সেসব সহোদর-সহোদরা বা যমজ ভাই-বোনকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই- বাছাই করে ভর্তির প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে, এ সুবিধা কোনো দম্পত্তির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর-সহোদরা বা জমজ ভাই-বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে। তবে, আবেদন সংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা যেতে পারে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার সফটওয়্যারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এদিকে একই নীতিমালার ১১. ৫ অনুচ্ছেদের সংশোধনীতে বলা হয়েছিলো, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয়,জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষ্যে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর দপ্তর প্রধানের-নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তার একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।