অস্থায়ী নিয়োগের পর সরকারিকৃত কলেজের প্রভাষকদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে নির্ধারণ করা কেনো অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আটজনকে। আর কলেজ সরকারিকরণের পর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ আগস্ট থেকে প্রভাষকদের ৭ম গ্রেডে বেতন বা এমপিও হিসেবে নেয়া টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার সরকারিকৃত কলেজের প্রভাষকের দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
রিটকারীদের আইনজীবী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান. রিটকারীরা ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সরকারিকৃত ২৯৮ টি কলেজের মধ্যে দুইটি কলেজে সরকারিকরণের আগে নিয়োগ পেয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা এমপিও নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর নবম গ্রেডে এমপিওভুক্ত হয়েছিলেন। তারপর প্রভাষক পদে আট বছর পূর্তির পর একটি সিলেকশন গ্রেড পেলে তাদের বেতন স্কেল সপ্তম গ্রেডে আপগ্রেড হয়। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সরকার সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ জারি করা হয়। ওই বিধিমালার বিধি ৯ এ বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট কলেজ সরকারিকরণের তারিখ থেকে বিদ্যমান জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে স্ব-স্ব পদের বেতন পাবেন। পরে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী কলেজগুলোর প্রভাষকদের ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু বিধি ৯ এর কারণে তাদের বেতন স্কেল সপ্তম গ্রেডের পরিবর্তে নবম গ্রেডে নির্ধারণ করা হয়। যার ফলে তারা বৈষম্যের শিকার হন এবং এখন কলেজ সরকারিকরণের পর থেকে পিটিশনার প্রভাষকদের নেয়া সপ্তম গ্রেডে বেতন বা এমপিও হিসাবে নেয়া টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার জন্য আদেশ জারি করা হয়। পরে সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রভাষকরা রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন।
শিক্ষার সব খবর সবারআগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।