জাতীয় সংসদে কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, চাকরিতে নিয়োগের সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের হলফনামা দেয়ার নিয়ম চালু করতে হবে। এরপর তিনি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর বা পদন্নোতির সময় হলফনামা দেয়ার দাবি জানান।
এ নিয়ম চালু করলে তাদের (সরকারি কর্মকর্তাদের) কী পরিমাণ আয় বা সম্পদ বাড়ছে তা জানা যাবে, দুর্নীতি কমবে। সরকারি কর্মকর্তারা হলফনামা না দিলেও একজন রাজনীতিবিদকে তো হলফনামা দিতে হয়। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
হানিফ বলেন, বর্তমান সরকারের জন্য দুর্নীতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতি আমাদের সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার বার বলেছেন এবং জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এখনো কিন্তু আমরা দুর্নীতি দমন করতে পারেনি। দুর্নীতির অবাধ প্রবাহ থাকলে কখনো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না, যেটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এখন।
তিনি বলেন, এবার কোরবানির ঈদে একটি গরু এক কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ গরুটা কারা কিনলো, কেন কিনলো। যাদের অবৈধ আয় আছে, তারাই নিশ্চয়ই কিনেছে। আবার ১৫ লাখ টাকায় অবৈধ আয়ধারীরা ছাগলও কিনেছে। এসব অনেকাংশে দুর্নীতির অর্থ।
তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, তখন বলেছিলেন আমরা দুর্নীতি বরদাস্ত করবো না। সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানো, সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে, তারপরেও কেন তারা দুর্নীতি করবে? অথচ দুর্নীতির কথা উঠলেই প্রথমেই আঙুল তোলা হয় রাজনীতিবিদদের দিকে। অথচ একমাত্র মন্ত্রী ছাড়া কোনো সদস্যের নির্বাহী ক্ষমতা নেই, তাহলে তারা কীভাবে দুর্নীতি করবে?