প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংকিং খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। এর ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যাবে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার (১২ জুন) গুলশানে হোটেল লেকশোরে 'বাজেট সংলাপ ২০২৪'-এ মূল প্রবন্ধে সিপিডি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ সব কথা বলেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা মোট ঘাটতির ৫৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে এটি একটি অসামঞ্জস্য প্রাক্কলন। এটি অর্জনযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বাজেটে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এরপর বেসরকারি বিনিয়োগ লক্ষ্যও ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু সরকার ব্যাংক থেকে টাকা নেয়ার ফলে বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের জায়গা ছোট হয়ে যাবে। বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না। এতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না।
সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বেসরকারি খাত এমনিতে চাপের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুদহার বাজারের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে; যদিও সুদ হার বাজারের হাতে ছেড়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায়ও ছিল না। আবার সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার ফলে সুদের হার আরও বাড়বে। এতে সরকারের ঋণের বোঝা আরও বাড়বে।
অনুষ্ঠানে বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বলেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা সচরাচর বাজেট নিয়ে কথা বলেন। এবার তারা একটু নার্ভাস। ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিয়ে গেলে তাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যাবে। তারা চিন্তিত ব্যাংক থেকে সরকার টাকা তুলে নিয়ে গেলে তারা কিভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাবে।