সরকারের সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশে ম্যানমেইড ফাইবার বা কৃত্রিম আঁশ উৎপাদন সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বেলাল। তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা যেনো ম্যানমেইড ফাইবার বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান নিয়ে জব সেক্টরে ঢুকতে পারে সেজন্য উপযোগী কারিকুলাম তৈরি ও ল্যাব প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে দ্য ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারস্ বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত ম্যানমেইড ফাইবার বা কৃত্রিম আঁশ উৎপাদন ও করণীয় নিয়ে এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আইইবির নেতারা, সদস্য ও বুটেক্সের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।সেমিনারের কি-নোট উপস্থাপন করেন বুটেক্সের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন শিয়াক। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ম্যানমেইড ফাইবারের যে উৎপাদন হয় তাতে বাংলাদেশের কোনো অবদান নেই। তাই আমাদের এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের বড় বড় কাপড়ের ব্রান্ডগুলো পলিস্টার ফাইবার রিসাইকেল করে ব্যবহার
করার দিকে ফোকাস করছে। যেখানে বিশ্বের ব্যবহৃত মোট ফাইবারের ৭৫ শতাংশ ম্যনমেইড ফাইবার, সেখানে আমরা ম্যানমেইড ফাইবারের উৎপাদন শুরুই করতে পারিনি। যেটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। তাই বস্ত্র রপ্তানির টেকসই উন্নয়নে ম্যানমেইড ফাইবারের বিকল্প নেই।
আইটিইটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান বলেন, ডাইভারসিফাইড প্রোডাক্ট তৈরি করার জন্য ম্যানমেইড ফাইবারের কোনো বিকল্প নেই। ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে যদি বাংলাদেশ ১০০ বিলিয়ন ডলার তৈরি পোশাক এক্সপোর্ট করতে চায় তবে ম্যানমেইড ফাইবারের কোনো বিকল্প নেই। তাই সরকারকে এর উৎপাদনে ভর্তুকি দিতে হবে। তবেই ম্যানমেইড ফাইবারের বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হবে।
সমাপনী বক্তব্যে আইবি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুস সাবুর বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক অবদান রাখতে হবে। টেক্সটাইল সেক্টরে যেমন উন্নতি করার সুযোগ আছে তেমনি চ্যালেঞ্জও আছে। গার্মেন্টস উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় স্থানে। ম্যানমেইড ফাইবার উৎপাদন শুরু করলে বাংলাদেশ প্রথম অবস্থানে যাবে।