নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে সহপাঠীর শিক্ষাগত সনদ দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন মো. হেলাল উদ্দিন। পরে সেখান থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি মামলা করলে পিবিআইর তদন্তে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। গত বুধবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গতকাল বৃহস্পতিবার পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু ইউসুফ জানান, ২০১৮ থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৯ মে পর্যন্ত তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কোম্পানিতে অফিসার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) পদে কর্মরত ছিলেন হেলাল উদ্দিন। নিজের প্রকৃত নাম-পরিচয় গোপন করে তার সহপাঠী মো. জাহাঙ্গীর আলমের শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ এবং বায়োডাটায় নিজের ছবি যুক্ত করে ওই কোম্পানিতে নিয়োগ পান। তিনি জানান, চাকরির সময় প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা সংগ্রহ করে অভিযুক্ত হেলাল।
পরে তা অফিসে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম হোসেন। পিবিআই জানায়, যার কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেই জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে ভোলার চর মোতাহার আলিম মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। হেলাল তার স্কুল জীবনের সহপাঠী।