পাবনার সাঁথিয়া পৌর সদরে অবস্থিত সাঁথিয়া সরকারি কলেজসহ দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা ওয়াশরুমের গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে ও অফিস সহকারীর কক্ষের তালা ভেঙে টেবিলের ড্রয়ারে রাখা প্রায় ৭ হাজার নগদ টাকা নিয়ে গেছে। একইভাবে অধ্যক্ষের কক্ষসহ চারটি কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি আলমারি খুলে নথিপত্র তছনছ করে। তবে ওই সব কক্ষে থাকা ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার চোরেরা নেয়নি।
আজ শুক্রবার ভোর রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে একই রাতে পাশ্ববর্তী হলি ক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে চোরেরা একটি কক্ষের তালা ভেঙে নগদ ২১ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
সাঁথিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মালেক বলেন, এদিন রাতে কলেজের নৈশপ্রহরী আব্দুল জলিল অসুস্থ্য থাকায় সে রাতে বাড়িতে ছিল। বিষয়টি জানতে পেয়ে সংঘবদ্ধ চোরেরা ওয়াশ ব্লকের গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে বেশ কয়েকটি আলমারির নথিপত্র তছনছ করে এবং প্রায় ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তবে জরুরি কোনো কাগজপত্র খোয়া গেছে কি-না দেখতে হবে।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, সংঘবদ্ধ চোরেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হলি ক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও তত্বাবধায়ক এবং বোয়াইলমারী কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন রানা জানান, আমার প্রতিষ্ঠান থেকে চোরেরা বই বিক্রির গচ্ছিত নগদ ২১ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ সময় নথিপত্রও তছনছ করে তারা। এ ঘটনায় সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার ও পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দুই প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ কম্পিউটার অনেক কিছু ছিল। কিন্তু কিছুই খোয়া যায়নি। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।