সাইবার নিরাপত্তা আইনকে বিতর্কিত বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে সেটি কালো আইন ছিল। টিআইবির অভিযোগ, নতুন আইনে পুলিশকে ঢালাও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আইনটি সংসদে পাশ করার আগে সংশ্লিষ্ট অংশিজনকে নিয়ে বসতে সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নানা সমালোচনা আর চাপের পর আইনটি পরিবর্তনের সরকার। গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত সোমবার মন্ত্রিসভায় আইনটির খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজন করে টিআইবি। এতে সংস্থাটির পরিচালক মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘যেখানে কারাদণ্ডের বিধান ছিল সেখানে কয়েক জায়গায় কারাদণ্ড বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এটাকে কিন্তু অপরাধ হিসেবেই রাখা হয়েছে। সুতরাং এটা কিন্তু আমাদের যে মৌলিক মানবাধিকারের চেতনা, আমাদের যে আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট তার সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়।’
নতুন আইনটি যেন সাইবার অবকাঠামো বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে স্বাধীন ও ভিন্নমত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা না হয়- তা নিশ্চিত করার তাগিদ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক মো. ইফতেখারুজ্জামানের। তিনি বলেন, ‘যেভাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কালো আইন হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছিল, বর্তমানে যে অবস্থায় আছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের ঘোষণা সেটা যদি প্রণিত হয়ে যায় তাহলে এটাও কিন্তু কালো আইন হিসেবে বর্ণিত হবে এবং বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার মতো ঝুঁকি সৃষ্টি হবে।’
মানহানিসহ যেসকল ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন আছে, তা প্রচলিত আইনেই বিচার করার দাবি টিআইবির। মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যদি আমরা মত প্রকাশের নামে অন্য কারো অধিকার হরণ করি এবং এতে মানহানি হয় সেটার জন্য কিন্তু আমার প্রচলিত আইন আছে। প্রচলিত আইনে বিচার হবে। এখানে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে সেটার বিচার নির্ধারিত করে দেয়ার কোনো যুক্তি আছে বলে আমরা মনে করিনা।’