দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : বিপিএলের গত মৌসুমে ফরচুন বরিশালে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। এবার তামিম ওই দলের অধিনায়ক। বিপিএল শুরু হওয়ার আগে সাকিব-তামিমের শীতল সম্পর্ক জমে বরফে পরিণত হয়। বিপিএলেও পড়েছে তার প্রভাব। একে অপরের আউটে সাকিব-তামিমের উদযাপন লড়াইয়ের উত্তাপ ছুটিয়েছে। যে কারণে বরিশাল-রংপুরের ম্যাচকে বলা হচ্ছে বিপিএল ক্লাসিকো।
ওই ক্লাসিকো ম্যাচে সাকিব আল হাসানদের বিদায় করে দিয়েছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বরিশাল তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটের বড় জয়। নিশ্চিত করেছে বিপিএলের ফাইনাল। ১ মার্চ ফাইনালে কুমিল্লার মুখোমুখি হবে তারা।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে রংপুর রাইডার্স। শুরুর ১৮ রানে তিনটি এবং ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। ৭৭ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে একশ’ রানের মধ্যে ধসে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় রংপুর।
সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন শামীম পাটোয়ারি। বাঁ-হাতি তরুণ এই ব্যাটার ২৪ বল খেলে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে পাঁচটি করে চার ও ছক্কার শট আসে। এছাড়া জেমি নিশাম ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি চারটি চার মারেন। সাকিব (১), রনি তালুকদার (৮), শেখ মাহেদি (২), নিকোলাস পুরানরা (৩) ব্যর্থ হন। রংপুরের রান দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৪৯।
জবাব দিতে নেমে ফরচুন বরিশাল ২২ রানে তামিম ইকবাল ও মেহেদি মিরাজকে হারায়। তারা যথাক্রমে ১০ ও ৮ রান করেন। সৌম্য সরকার ও মুশফিক ৪৭ রানের জুটি গড়ে ওই ধাক্কা সামাল দেন। সৌম্য ১৮ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন। দুটি চার ও একটি ছক্কার শট খেলেন তিনি।
পরে জুটি দেন কাইল মায়ার্স ও মুশফিক। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার মায়ার্স ১৫ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সহজ করে দেন। বাকি পথটা পাড়ি দেন চারে ব্যাট করতে নামা মুশফিক ও ছয়ে নামা ডেভিড মিলার। মুশফিক খেলেন ৩৮ বলে ৪৭ রানের হার না মানা কার্যকরী ইনিংস। তিনি ছয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন। মিলার ১৮ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে বরিশালের জেমস ফুলার ৩টি ও সাইফউদ্দিন ২ উইকেট নেন।