দেশের মাটিতে নিজের শেষ টেস্ট খেলে এই ফরম্যাটকে বিদায় দিতে চান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে দেশে নিরাপদে আসা এবং যাওয়ার নিশ্চয়তাও তিনি চান। বিসিবও চায় তাকে ঘরের মাঠ থেকে বিদায় দিতে। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে শতভাগ নিশ্চয়তা কারো মুখ থেকেই শোনা যায়নি।
তবে রোববার বিসিবিতে ক্রীড়া উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সাকিবের দেশে ফেরা বা খেলার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই। আসিফ মাহমুদ বলেন, 'একজন ক্রিকেটার তিনি খেলবেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, তার আসার ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা আমি দেখি না। তবে দেয়ালে লিখনের যে কথা বলছেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখছি, এটা তো আসলে আবেগের ব্যাপার। তাদেরও ওই অধিকার আছে। গণতান্ত্রিক দেশ, সাংবিধানিক অধিকার আছে যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট বা যেকোনো কিছু করার। তবে এক্ষেত্রে আমার আহ্বান থাকবে কারো নিরাপত্তা যেন হুমকির মুখে না ফেলি। '
'যদি আইনগত কোনো বিষয় থাকে, আইন তো আইনের গতিতে চলে। এ বিষয়ে তো আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা আসবে, আমাদের পরিবেশটাও ভালো রাখতে হবে। না হলে বাইরের দেশগুলো বাংলাদেশে আসতে নিরাপত্তার অভাবটা অনুভব করবে। '
রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত দেশে ফেরেননি সাকিব। যদিও এই সময়ে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশও খেলেনি। তবে ভারত সিরিজ চলাকালীনই কানপুরে টেস্ট ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এই অলরাউন্ডার। সবকিছু ঠিক থাকলে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। তবে তা নিয়ে এখনো জলঘোলা চলছে। কেননা সাকিব দেশে থাকাকালীন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চান। একইসঙ্গে দেশ ছাড়ার ব্যাপারে তাকে যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হতে হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সাকিব ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যও ছিলেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার নীরব অবস্থানে ক্ষুব্ধ হন অনেকেই। যদিও কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেজন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।