পটুয়াখালীর বাউফলে বিদ্যুৎপৃষ্টে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার সাক্ষী দেয়ায় এক শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বাদী এবং অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি এমন হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক মো. রাসেল। তিনি উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি (ভোকেশনাল) বিভাগের সহকারী শিক্ষক।
এ ঘটনায় সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষক ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মে কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি (ভোকেশনাল) বিভাগের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বেল্লাল হোসেন সবার অগোচরে বিদ্যালয়ের ছাদে উঠলে মেইন লাইনে বিদ্যুৎপৃষ্টে মারা যায়। এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। ঘটনার প্রায় ৬ মাস পর গত ১১ নভেম্বর মৃতের বাবা মো. তাজউদ্দিন বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আসামি করে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলার তদন্তে দায়িত্ব দেয়া হয়। গত রবিবার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক পার্থ সুমন বিদ্যালয়ে আসেন। ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষক মো. রাসেল সেদিনের ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দেন। এতে মামলার বাদী ওই শিক্ষকের ওপর ক্ষুব্ধ হন। ওই দিন বাদী নিজে শিক্ষক রাসেলের বাবা আবুল কালাম মৃধাকে মোবাইল ফোনে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। একই দিন অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর (০১৩০৬১৪৯৮১৯) দিয়ে কল করে শিক্ষক রাসেলকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
মো. রাসেল বলেন, ঘটনার দিন যা হয়েছিল, তাই তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়েছি। যা মামলার বাদীর মনমতো হয়নি। যে কারণে আমাকে এবং আমার বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।’
তবে হুমকি দেয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছেন মামলার বাদী মো. তাজউদ্দিন। অপরদিকে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তা রিসিভ করেনি। বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।