দৈনিক শিক্ষাডটকম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশকে ৫০ বছর সময় দিতে হবে’ এমন মন্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এটা বিতর্কের প্রশ্ন না। আমার কষ্ট হয়। আপনাদের (সাংবাদিক) জন্য ভালো কথা বললেও আপনারা অন্যভাবে নেন। আমি বলেছি, যারা সত্যিকারের এই অপরাধটা করেছে তাদেরকে ধরতে সব রকম চেষ্টা করেও যদি সময় লাগে এবং আপেক্ষিকভাবে আমি বলেছি ৫০ বছরও যদি লাগে। কিন্তু যারা এই অপরাধ করেছে তাদেরকে ধরার জন্য যত সময় লাগুক তাদেরকে আমরা ধরবো। এই কথাকে আপনারা মনে করেছেন যে ৫০ বছর লাগবে। শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আমার কথা হচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। আসল অপরাধীকে ধরা উচিত। আমাদের আইনী কাঠামোতে বলা হয়, যে অপরাধী নয়, তাকে হয়রানি করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে হবে। সেই কারণে আমি এই কথা বলেছি। আপনারা (সাংবাদিক) গেলেন খেপে। আমি বুঝলাম না ভালো কথা বললেও আপনারা এরকম ক্ষেপে যান কেন?
এ মামলার তদন্ত ধীরগতিতে হচ্ছে কিনা ও এরকম বিলম্বে তদন্তের নজির আর আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমি যেই কারণে সময়ের কথাটা বলেছি। পৃথিবীতে এরকম অনেক মামলা আছে। ৪২ বছর পরে ইউনাইটেড কিংডমে (যুক্তরাজ্য) একটি খুনের মামলার আসামীদেরকে ধরতে পেরেছে। অ্যামেরিকায় কিছু দিন আগে ২৪ বছর পরে একটি খুনের মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে। আমার কথা হচ্ছে, পুলিশ চেষ্টা করছে। তাদের তদন্ত চলছে। প্রকৃত আসামীকে এখনো পর্যন্ত তদন্তে ধরতে পারছে না, এই জন্য তদন্তে সময় লাগছে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কি চান তদন্ত বন্ধ হয়ে যাক। আমি এই কারণেই বলেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীকে না ধরা হবে ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চলবে।
এর আগে ঢাকা থেকে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোয়া ১০টায় আখাউড়া ট্রেন স্টেশনে পৌঁছান।
এসময় আখাউড়া উপাজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা আক্তার পিওনাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
