বেশ সাদামাটা জীবনযাপন করতেন জিওফ্রে হল্ট। থাকতেন আমেরিকার নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের হিন্সডেল শহরে। সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ বাড়িতে বাস করতেন। জীর্ণ পোশাকে ঘাস কাটার গাড়িতে চড়ে শহরময় ঘুরে বেড়াতেন হল্ট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, হল্ট অন্যদের জন্য ছোটখাটো কাজ করতেন। হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের গাড়ি চালানো শেখাতেন। তবে নিজে একটা সময় গাড়ি ছেড়ে সাইকেল চালানো শুরু করেন। শেষমেশ চালাতে শুরু করেন ঘাস কাটার গাড়ি। পার্কে থাকা তাঁর ভ্রাম্যমাণ বাড়িটিতে তেমন আসবাব ছিল না।
হল্টের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এডউইন স্মিথ বলেন, ‘হল্টের খুব বেশি চাওয়া ছিল না। তাই অপূর্ণতা ছিল না বলে মনে করতেন তিনি।’
চলতি বছরের জুনে জিওফ্রে হল্ট মারা যান। এরপর বেরিয়ে আসে অবাক করা তথ্য। প্রায় ৩৮ লাখ মার্কিন ডলারের মালিক ছিলেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রায়। এই সব সম্পদ তিনি দিয়ে গেছেন হিন্সডেল শহরের বাসিন্দাদের। শহরটিতে ৪ হাজার মতো বাসিন্দার বাস। একটি দাতব্য ট্রাস্টে এই সম্পদ রেখে গেছেন হল্ট।
শহরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ক্যাথরিন লিঞ্চ বলেন, এই দাতব্য ট্রাস্টে স্কুল এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসহ শহরের সদস্যরা প্রতি বছর দেড় লাখ ডলার পর্যন্ত অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবে।
এদিকে হল্টের রেখে যাওয়া অর্থ ব্যয় নিয়ে নানা প্রস্তাব আসছে। কেউ বলছেন হিন্সডেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি খাতে এই অর্থ ব্যয় করা যায়। আবার কেউ বলছেন, শহরের হল ঘড়িটিকে ঠিকঠাক করা ও ভবন পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে। কেউ কেউ আবার হল্টের সম্মানে নতুন ভোট গণনা যন্ত্র কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন। কারণ হল্ট সব সময় ভোট নিশ্চিত করতে চাইতেন। আরেকটি প্রস্তাব উঠেছে অনলাইনে গাড়ি চালানোর শিক্ষা কোর্স চালুর।