সাপের কামড়ে ছাত্রসহ দুইজনের মৃ*ত্যু - দৈনিকশিক্ষা

সাপের কামড়ে ছাত্রসহ দুইজনের মৃ*ত্যু

দৈনিক শিক্ষাডটকম, চুয়াডাঙ্গা |

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পৃথক স্থানে সাপের কামড়ে এক স্কুলছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ডিঙ্গেদহের হাটখোলা এলাকার মাটিকাটা শ্রমিক জয়দেব পালের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী দেবাশীষ পাল (১২) ও কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া গ্রামের বুলা মিয়ার ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী রাজন হোসেন (১৬)।

 

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নিহত দেবাশীষ পালের মা কিরণ মালা বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ছেলে হঠাৎ করেই কয়েকবার বমি করে। জিজ্ঞাসা করলে ছেলে জানায় তাকে কিছু কামড় দিয়েছে। এর পর ক্ষতস্থান দেখে সাপে কামড়িয়েছে বলে নিশ্চিত হই। পরে স্থানীয় ওঝার নিকট নিলে আরও অবস্থার অবনতি হলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, তিন ছেলের মধ্যে দেবাশীষ পাল ছিল মেজো। সে অত্যন্ত মেধাবী ছিল। রাতে প্রথমে আরশোলায় কামড় দিয়েছে ভেবে ছেলে ঘুমিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর বমি শুরু হলে বিষয়টি টের পাই।

আজ দুপুর ২টার দিকে মরদেহের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান দেবাশীষ পালের মা কিরণ মালা।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিকুজ্জামান নিহত রাজনের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে মুঠোফোনে বলেন, রাজন ছিল বাকপ্রতিবন্ধী। সে কানে শুনত না, কথাও বলতে পারত না। গতকাল রাত ৩টার দিকে সাপ কামড় দিলে নিজেই সাপকে পিটিয়ে হত্যা করে রাজন। পরে পরিবারের সদস্যরা টের পেলে তাকে স্থানীয় ওঝার নিকট নিয়ে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার ১০ মিনিট পর চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, দুজনের শরীরে সাপের কামড়ের ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদেরকে অনেক দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার পরই হাসপাতালে নিয়ে এলে হয়ত তাদেরকে বাঁচানো সম্ভব হত।

প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070710182189941