সাবেক প্রধানশিক্ষকের চাকরি পূর্ণবহালের দাবিতে শিবচরে মানববন্ধন - দৈনিকশিক্ষা

সাবেক প্রধানশিক্ষকের চাকরি পূর্ণবহালের দাবিতে শিবচরে মানববন্ধন

দৈনিক শিক্ষাডটকম, মাদারীপুর |

মাদারীপুর জেলার শিবচরে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের রোষানলে পড়ে চাকরি হারানো শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশন প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনের চাকরি পূর্ণবহাল দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশনের সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ, অভিভাবকমহল ও সর্বস্থরের জনগণ। 

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশনের প্রধান ফটোক ও সড়ক ৭১- এ এই মানববন্ধনটি করে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ।  

সরজমিনে জানা যায়, শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশনের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনকে জোড়পূর্বক অব্যাহতি দেওয়া ও নানা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি ঐ প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন ভুল তথ্য দিয়ে তাকে তার পদ থেকে অপসরণ করেছে। তাই সাবেক ঐ ম্যানেজিং কমিটিগুলোর ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থার নেওয়ার জোড় দাবি জানান উপস্থিত সকলেই। 

মানববন্ধনে সকল মানুষের একটাই দাবি বিদ্যালয়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষকের তদস্থলে মো. রুহুল আমিনকে শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া না হবে ততক্ষণ মানববন্ধনকারীরা তাদের দাবি আদায়ে মাঠে থাকবে। এটাই তাদের একদফা, এক দাবি।

শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশনের সাবেক শিক্ষার্থী আকলিমা আক্তার বক্তব্যে বলেন, মো. রুহুল আমিন স্যার ছিলেন একজন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ প্রধান শিক্ষক। সে তার স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর রাখতেন। তার সাথে যে অন্যায় হয়েছে তা আমরা মানি না মানবো না। তাই আমাদের সকলের দাবি তাকে প্রধান শিক্ষক পদে পূর্ণবহাল দিতে হবে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধি মোতাবেক ১২-০১-২০০৮ তারিখে পরীক্ষা দিয়ে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মো. রুহুল আমিন সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে মেধা তালিকায় প্রথম হন। গত ২৯-০১-২০০৮ তারিখে নকই/শিব/২০০৮/১৯৫ নম্বর স্মারক অনুযায়ী প্রেরিত নিয়োগ পএ মোতাবেক গত ০৭-০২-২০০৮ তারিখে শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। মানববন্ধনকারীদের দাবী ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পরে গত ০১-০৭-২০১৫ তারিখে কোন কারণ ছাড়াই তাকে বিদ্যালয় থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়।

অভিভাবকের বক্তব্যে মো. আবু জাফর আহমাদ বলেন, ‘তিনি একজন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। শিক্ষক হিসেবে ছিলেন সৎ ও ভালো। গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের তিনি খুব সহযোগিতা করতেন। কিন্তু তার মতো একজন শিক্ষককে এভাবে আমরা হারাতে পারি না। তাই তার সন্মান ফিরিয়ে আনতে আমাদের এই মানববন্ধন। ’

মানববন্ধনটি সড়ক ৭১ ঘুড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে শেষ হয়।

সরকার পরিচালনায় ভুলত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিন, সম্পাদকদের ড. ইউনূস - dainik shiksha সরকার পরিচালনায় ভুলত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিন, সম্পাদকদের ড. ইউনূস এইচএসসি ফল তৈরি: পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়েছে বোর্ড - dainik shiksha এইচএসসি ফল তৈরি: পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়েছে বোর্ড শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য ও হেনস্তা নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য ও হেনস্তা নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের আগস্ট মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের আগস্ট মাসের এমপিওর চেক ছাড় এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডিজি হলেন - dainik shiksha এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডিজি হলেন ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি উত্তপ্ত - dainik shiksha ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি উত্তপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাত ভাঙলেন বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাত ভাঙলেন বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক নিপীড়নের আইনগুলো এখনই বাদ দেয়ার প্রস্তাব - dainik shiksha সাংবাদিক নিপীড়নের আইনগুলো এখনই বাদ দেয়ার প্রস্তাব মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দিতে আবেদন আহ্বান - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দিতে আবেদন আহ্বান শিরীন শারমিনের পদত্যাগে স্পিকার পদে কি শূন্যতা তৈরি হলো - dainik shiksha শিরীন শারমিনের পদত্যাগে স্পিকার পদে কি শূন্যতা তৈরি হলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037069320678711