দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং এইচএম এরশাদ আমলের শিক্ষামন্ত্রী ড. আব্দুল মজিদ খান মারা গেছেন।
আইইউবি এক ফেইসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
ফরিদপুরের সন্তান মজিদ খান কলকাতা, লন্ডন ও মিনেসোটাতে লেখাপড়া করেছেন। সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি করা প্রথম বাংলাদেশি তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে লিবারেল আর্টস ও সায়েন্সের সবচেয়ে পুরনো ও মর্যাদাপূর্ণ অ্যাকাডেমিক সংগঠন ফাই বেটা কাপ্পা সোসাইটির সদস্য ছিলেন তিনি।
উচ্চ শিক্ষার প্রসারে অবদানের জন্য সেন্ট পল মিনেসোটার হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটি আব্দুল মজিদ খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়।
ভিজিটিং প্রফেসর এবং সিনিয়র ফুলব্রাইট ফেলো হিসেবে তিনি হ্যামলাইন ইউনিভার্সিটিতে এবং রুরাল সোশিওলজি বিভাগের রেসিডেন্ট ফেলো হিসেবে উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন। নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ও জর্ডানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেছেন।
গত শতকের আশির দশকে এইচ এম এরশাদ সরকারের মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মজিদ খান। সে সময় তার প্রণীত শিক্ষানীতি তুমুল ছাত্র আন্দোলনের জন্ম দেয়।
ফ্রান্স, স্পেন ও মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ফ্রান্স সরকার মজিদ খানকে অফিসার দে ল'র্ড দেস পালমেস অ্যাকাডেমিক্সে খেতাবে ভূষিত করে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় আইইউবি ক্যাম্পাসে তার নামাজে জানাজা হবে। পরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বারিধারা জামে মসজিদে আরেক দফা জানাজার পর তাকে দাফন করা হবে।