সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁকে বিচারাধীন অবস্থায় জেলে হত্যা করা হয়। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য মামলা’ নামক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন। তিনি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার সোনাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
জহুরুল হক ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং জগন্নাথ কলেজ থেকে আই.কম পাস করেন। তিনি ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং পর্যায়ক্রমে সার্জেন্ট পদে উন্নীত হন।
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীকালে আরও কয়েকজন আসামিসহ তাঁকে ঢাকা (কুর্মিটোলা) ক্যান্টনমেন্টে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে একজন পাকিস্তানি হাবিলদার জহুরুল হককে সামনাসামনি গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যার খবর ছড়িয়ে পরলে বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারি অতিথিভবন ও অন্যান্য সরকারি অট্টালিকায় অগ্নিসংযোগ করে। গণ-আন্দোলনের চাপে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা রদ করতে বাধ্য হয়।
সার্জেন্ট জহুরুল হকের সহকর্মীরা তাঁকে একজন অনমনীয় ও সৎ সৈনিক হিসেবে জানতেন। তাঁরা অনেক সময় তাঁকে ‘মার্শাল’ বলে সম্বোধন করতেন। জহুরুল হক একজন ভালো চিত্রশিল্পী ও খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁর সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের নাম ‘জহুরুল হক হল’ রাখা হয়।