সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থীরা প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয়বারের মতো ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করে যাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। তারা প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ চেয়ে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন।
গত ২৪ অক্টোবর ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। পরের দিন শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা অপমানজনক বলে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংঘর্ষের রাতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ উল্লেখ করে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি এই সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে কেন্দ্রীয় কমিটি দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগে দীর্ঘ আলোচনা করে আমরা তাদের দাবিগুলো শুনেছি। তাদের দাবি বাস্তবায়নে ভিসি স্যার সময় চেয়েছিলেন। তবে শিক্ষার্থীরা তা মানছেন না।’