আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) চালু হতে যাচ্ছে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ। সেই ঙ্গে নতুন অনুষদের পাঠ্যসূচি প্রণয়নের ওপর দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিভাসু অডিটোরিয়ামে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের স্নাতক পর্যায়ে কারিকুলাম ও সিলেবাস তৈরির উদ্দেশে ‘Consultative workshop on development of undergraduate curricula and syllabus for the Faculty of Biotechnology and Genetic Engineering’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি আগামী দিনের সম্ভাবনার নতুন হাতিয়ার। গত শতাব্দীতে যে কয়েকটি আবিষ্কার বিজ্ঞানের জগতকে তোলপাড় করে দিয়েছে তারমধ্যে অন্যতম ছিলো ডিএনএ-এর গাঠনিক বিন্যাস আবিষ্কার। যেকোনো জীবের জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব কার্যক্রমই নিয়ন্ত্রিত হয় তার জিনোম বা কিছু ক্রোমোজোম বা অনেকগুলো জিনের দ্বারা। আবিষ্কারের পর থেকেই বিজ্ঞান, দর্শন এবং কলা ইত্যাদি সব ক্ষেত্রকে সমানভাবে আলোড়িত করেছে ডিএনএ। জীবনের নানান ক্ষেত্রকে এমন বহুমুখী সমৃদ্ধি দেয়ার ক্ষেত্রে একক ভাবে এত বড় ভূমিকা রাখতে পারেনি আর কোনো অণু।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার আরো বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় বিকল্প সমাধান হতে পারে জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবকোষ থেকে জ্বালানীর রসদ তৈরি হয়। আমি আশা করি সিভাসু’র নতুন বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ আগামী প্রজন্মের প্রযুক্তিগত দুনিয়া সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।
সিলেবাস কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এএমএএম জুনায়েদ ছিদ্দিকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে সিভাসু’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ের (ইউএসটিসি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান, সিভাসু’র জেনেটিক্স অ্যান্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কবিরুল ইলাম খানসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী ওই কর্মশালায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন।