দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঝালকাঠি: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে ৭ থেকে ৮ ফুট বেড়েছে। যা বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এমনকি জেলা শহরের অলিগলির বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। বেশ কয়েকটি প্রধান সড়কও পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম নিলয় পাশা জানিয়েছেন, সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে ৭ থেকে ৮ ফুট বেড়েছে। যা বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলার চার উপজেলার দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদরাসা।
আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। জেলার চারটি উপজেলার নদী পাড়ের প্রায় দুই হাজার মানুষ তাদের গবাদিপশু নিয়ে গত রাত থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মাছের ঘের, পুকুর ও জলাশয়, ফসলের খেত এবং পানের বরজ তলিয়ে গেছে। প্রবল বাতাসের কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে থাকা গাছ উপড়ে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খুঁটি পড়ে গিয়ে গত রাত থেকে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় তারা রান্না করতে পারছেন না।
জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ চলছে।