ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে 'কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান' ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য সাতটি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ,
ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন ও অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকাসহ দেশের অন্য সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২,৯৩৪টি আসনের বিপরীতে ১,১২,২৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। যথাযথভাবে নিয়মনীতি অনুসরণ করে স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে কোনো প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করার জন্য অভিভাবক, পরীক্ষার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি উপাচার্য আহবান জানান।
ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, সব কিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই আমরা কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করে থাকি। পরীক্ষা যেন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করেছি। আমরা আমাদের প্রত্যেক কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের সাথে কথা বলি, যাতে করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়। তাছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র প্রত্যেক কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং সেখানে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র নিয়ে আসেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার গুঞ্জন বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতারক চক্র আজকে প্রায় তিনদিন যাবত সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো আমাদের যারা অভিভাবকরা আছেন, যাদের প্রতারক চক্র সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া। সেজন্যই তারা নানাবিধ গুজব ছড়াচ্ছে। আমার মনে হয় প্রতারক চক্র প্রভাবিত করতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিলো গত কয়েকদিন। তারাও সজাগ আছে। আমার বিশ্বাস এই প্রতারক চক্র ধরা পড়বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। সেরকমই আমাদের আলোচনা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে যদি আমি বলি প্রতারক চক্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে বা প্রতারক চক্র কাউকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আমরা আগেভাগেই প্রতারক চক্রের বিষয়ে সজাগ করেছি। আমরাও সজাগ থেকেছি যেন এই প্রতারক চক্র এই পরীক্ষার কার্যক্রমকে বিতর্কত করতে না পারে এবং টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে। কাউকে যেন কোনোভাবে প্রভাবিত না করতে পারে।
অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।