রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ১ম ও ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা হামলা করেন। এই সময় তারা পরীক্ষার্থীদের ডকুমেন্টস ও ফাইল ছিড়ে এবং পুড়িয়ে ফেলেন। প্রশাসনিক কাগজপত্র ফিরিয়ে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কলেজে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাখ্যা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বোরবার (২৪ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী লিখন ইসলাম।
তিনি বলেন, অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী কলেজে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার সুষ্ঠু সমাধান চান শিক্ষার্থীরা। এসময় তিনি মাহাবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বাকি কলেজের প্রিন্সিপাল এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রিন্সিপাল, অফিসার্স কাউন্সিলকে সমাধানের রোডম্যাপ দিতে হবে। যদি কোনো সমাধান না দিতে পারে তাহলে সোমবার সকাল ১০টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে।
তিনি আরো বলেন, সমাধানের বৈঠকে প্রিন্সিপালসহ ৬ জন শিক্ষক, সোহরাওয়ার্দী কলেজের ৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখতে হবে। মাহাবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ ১৯টি কলেজ মিলিয়ে ইউনাইটেড কলেজ অব বাংলাদেশ (ইউসিবি) সংগঠনের নেতৃত্ব হামলা চালিয়েছে। এই সংগঠনের নেপথ্যে কারা তার তদন্ত করতে হবে।
এসময় একই কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, সাত কলেজের বাকি পাঁচটি কলেজও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচিতে তারা থাকবে। তিনি বলেন, যারা এই বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর ও লুট করল তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং স্থায়ী বহিষ্কার চাই।
কবি নজরুল কলেেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, কবি নজরুল কলেজের যাদের পরীক্ষা সোহরাওয়ার্দীতে ছিল অনেকেই আহত হয়েছে। যারা ইউসিবির ইন্ধনে হামলা চালিয়েছে এবং এই সংগঠনের নেপথ্যে আছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। যে ক্ষতি তারা করেছে, এর দায়ভার কারা নিবে? এই ক্ষতিপূরণ গুলো কবে নিশ্চিত করবে সেটা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন, দেশের সরকার ও উপদেষ্টারা যদি নিশ্চিত না করেন তাহলে অন্য কলেজ না আসলেও কবি নজরুল এবং সোহরাওয়ার্দী কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে রোববার ডা. মাহাবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ (১৮)-এর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ঘেরাও করতে আসা শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।