ঝালকাঠির রাজাপুরের চর পালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন ক্লাসের দুটিতে মাত্র ছয় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পঞ্চম শ্রেণি ছিল শিক্ষার্থীশূন্য। সেই সঙ্গে চার শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ দুজন ছিলেন অনুপস্থিত।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তখন সহকারী শিক্ষক শেয়ালি মমতাজ ও নূপুর আক্তারকে ক্লাসে পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সভায় এবং আরেক শিক্ষক রিনা বেগম ছুটিতে বলে জানা যায়।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, এখানে প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র ২৬ শিক্ষার্থী রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রধান শিক্ষক মাসের অর্ধেক দিন ঠিকভাবে বিদ্যালয়ে আসেন না এবং নিয়মিত স্বাক্ষর দিয়ে রাখেন। তাঁর অনুসারী শিক্ষকেরাও সঠিকভাবে পাঠদান করেন না। বিদ্যালয়ে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য আব্দুল হালিম বিশ্বাস ও সাবেক সদস্য নুরুজ্জামান জানান, পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষার পরিবেশ নেই। দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনের জন্য শিক্ষা দপ্তরসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল হয়নি।
তবে প্রধান শিক্ষক নাসিমা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তিনি ঠিকভাবেই বিদ্যালয়ে যান এবং থাকেন। তবে মিটিং ও অফিসের কাজে মাঝেমধ্যে তাঁকে রাজাপুর থাকতে হয়। এ ছাড়া প্রত্যন্ত চর এলাকা হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম।
এ বিষয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি কবির হোসেন জানান, সার্বিক পরিস্থিতি নিরসনে সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরজুদা বেগম বলেন, শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।