দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদন অনলাইনে পূরণের সময় ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গত ১২ নভেম্বর এই ভর্তির আবেদন শুরর পর সরকারিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের যে জোয়ার দেখা যাচ্ছিলো, সময় শেষ হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তা আরো বেড়েছে। বিপরীতে প্রকট হয়েছে বেসরকারিতে ভর্তির অনাগ্রহ। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পাওয়া তথ্যে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৮ দিনে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন পড়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আর বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর একটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের বাছাই ও ভর্তি করা হবে। এ বছর ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। টেলিটক সিম ব্যবহার করে এই ফি পরিশোধ করতে হবে। ডিজিটাল লটারির পর আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া, চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তাকে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন,
এবার সরকারি-বেসরকারি ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে মোট আসন আছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৬৮০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন। সরকারিতে স্কুল পছন্দ দিয়েছেন ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০টি।
আর ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি আসন। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী। তারা স্কুল পছন্দ দিয়েছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৪টি।
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মোট আবেদন করেছেন ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী আর স্কুল পছন্দ দিয়েছেন ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৫৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
এর আগে ১২ নভেম্বর থেকে এ ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপের অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি চলবে এবং দ্বিতীয় ধাপের তালিকা ভর্তি চলবে ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই লিঙ্কে, https://gsa.teletalk.com.bd/, গিয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবেন।