কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় স্কুলের জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২ এপ্রিল) সংঘর্ষের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, হকি স্টিক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একটি পক্ষ আরেকটি পক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছেন। এসময় ঘরবাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আরেকটি পক্ষ তাদের থামানোর চেষ্টা করছেন। ঘর থেকে নারীদের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের বাঘাইরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য চারতলা ফাউন্ডেশনের একটি ভবনের বরাদ্দ আসে। বিদ্যালয়ের যে জায়গাটিতে ভবন করার কথা, সেটি মোস্তাক মিয়া নামে এক ব্যক্তির দখলে রয়েছে। এদিকে মোস্তাক মিয়ার একটি জায়গা দখল করে রেখেছেন আরশাদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি। সর্বশেষ আবারও ঠিকাদাররা ভবন করতে এলে মোস্তাক মিয়া বাধা দেন। তিনি আরশাদ মিয়ার কাছ থেকে জায়গা ফেরত চান। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে আরশাদ মিয়ার বাড়িতে সালিশ বসে।
এর আগেও এ ঘটনা নিয়ে দুইবার সালিশ হয়। সালিশে কথা কাটাকাটি থেকে একটি পক্ষ আরশাদ মিয়ার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে চারজন আহত হন। আহতরা হলেন- আরশাদ মিয়া, মোখলেস মিয়া, রেজাউল করিম ও ওমর ফারুক। তাদের তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আরশাদ মিয়ার ছেলে নাজির মিয়া বলেন, বৈঠকে মোস্তাক মিয়া দাবি করেন, আমরা জায়গা ছেড়ে দিলে তিনিও স্কুলের জায়গা ছাড়বেন। তা না হলে স্কুলের জায়গা ছাড়বেন না। এতে আমার বাবা আরশাদ মিয়া রাজি না হলে বৈঠক শেষে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, দুই পক্ষের জায়গা দখল-পাল্টা দখল নিয়ে বিদ্যালয় ভবনের কাজ আটকে রয়েছে। একাধিকবার সালিশের মাধ্যমে তা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেউই সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। আমরা এটা নিয়ে পুনরায় বসবো। কীভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়, তার একটি উপায় খুঁজে বের করবো।
রোববার রাতে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, বাঘাইরামপুর গ্রামে মারামারির ঘটনায় শুক্রবার রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এতে উভয়পক্ষেই মামলা করেছেন। দুই মামলায় আসামি ১৫-১৬ জন। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।