তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্টেট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শিক্ষকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে। তাছাড়া তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের দুইদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৪ পেস্টেম্বর) পূর্বাচলের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান নাজিয়া রহমান। তবে তিনি মিটিংয়ে থাকায় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বাসের সিটে বসা নিয়ে আইন বিভাগ ও ফার্মেসি বিভাগের দুই নারী শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডার জেরে ঘটনার সূত্রপাত। পরে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়েছে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। হামলায় কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীও আহত হন। শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধার করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন জানান, দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়েছে। যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে।
কারা হামলা চালিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারা হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতরা হামলায় অংশ নিয়েছেন কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে।