জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও দলটির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, স্ত্রী ছাড়া কোনো নারী তাকে পছন্দ করেন না। তবে তাদের দলের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামকে নারীরা খুবই পছন্দ করেন বলে তিনি জানান।
আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন মুজিবুল হক।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় বর্তমান সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী এমপিদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আজকে নারীদের বিল উঠেছে। এই সংসদকে সচল করে রাখা ও কোরাম ধরে রাখার একমাত্র অধিকারী হচ্ছেন আমাদের নারীরা। ফখরুলের এই বক্তব্যের সময় সংরক্ষিত আসনের এমপিরা টেবিল চাপড়ে ধন্যবাদ দেন।
ফখরুল ইমাম তার বক্তব্যে আরও বলেন, এই সংরক্ষিত ৫০ জন এবং নির্বাচিত আরও কতজন বোন আছেন...। মাননীয় স্পিকার আপনার নেতৃত্বে যত কনফারেন্স করেছি সেখানে নারী এমপিরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই ৫০ জন এমপি জ্ঞানের দিক থেকে কেউ কারও থেকে কম নয়। তারা খুব সুন্দর ভঙ্গিমায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন। হয় তো সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতা এবং মাননীয় স্পিকার আপনি মহিলা হওয়ায় এটা কারণ হতে পারে।
পরে সংশোধিত প্রস্তাবের ওপর বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমার কলিগ ফখরুল ইমাম বিলে প্রথমে আসেননি। হঠাৎ করে এসে...। আমি জানতাম উনি নারীদের খুব পছন্দ করেন। নারীরাও উনাকে পছন্দ করেন। কিন্তু আজকে একটু বলাটা (প্রশংসা) বেশি হয়ে গেছে মনে হয়। জানি না কেন? কোথায় দুর্বলতা!
চুন্নুর বক্তব্যের সময় সিটে বসেই মাইক ছাড়াই ফখরুল ইমাম বলেন, এর বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। ঘরে গেলে অবস্থা খারাপ...।
জবাবে চুন্নু বলেন, ঘরের অবস্থা কাহিল! না আমার স্ত্রী ছাড়া কোনো নারী আমাকে পছন্দ করেন না। কিন্তু আপনাকে তো অনেকেই পছন্দ করেন। এ সময়ে সংসদে হাসির রোল পড়ে যায়।
পরে সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বক্তব্যকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি মাননীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সঙ্গে একমত। এই যে সংসদে সংরক্ষিত আসনে এবং সরাসরি নির্বাচিত হয়ে যে মহিলা সদস্য আসছেন, তারা সবাই এই সংসদকে কার্যকর করার জন্য অবদান রেখেছেন। এটা প্রশংসীয়। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। ও তাদের কার্যক্রমকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি। আমি কিন্তু জনাব ফখরুল ইমামের মতো হাততালি পাইনি! এ সময় সংসদে হাসির রোল পড়ে যায়।