স্থানীয়দের মারধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ - দৈনিকশিক্ষা

স্থানীয়দের মারধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

সাভারে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুল ইসলাম অন্তর। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ বলে জানা গেছে। 

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েকদিন আগে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অন্তরকে আক্রাইন বাজারের কিছু লোক তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। পরে তারা অচেতন অবস্থায় ফেলে দিয়ে চলে যান। খবর পেয়ে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার রাজু হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মারা যান তিনি।

এরপর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তারা জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এসময় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালান তারা।

হামলার শিকার হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা আক্রাইন বাজারের একটি পেট্রলের দোকান থেকে পেট্রল কিনে দোকানের সামনে রাখা বসার বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া শতাধিক দোকানে ভাঙচুর চালান। তবে তারা কাউকে আক্রমণ করেননি।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী অন্তর হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাহাতকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পাবলিক রিলেশনশিপ অফিসার আনোয়ার হাবিব কাজলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035820007324219