দেশের বাজারে আরেক দফা কমল স্বর্ণের দাম। এবার প্রতি ভরিতে দাম কমেছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৮০ টাকা। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। নতুন এই দর শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১২ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৫১৯ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯১ হাজার ৪১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে ১৩ নভেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার। আর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।