যশোরের চৌগাছার ঝাউতলা এম কে এন জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গায়েবি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী।
ইউএনও ইরুফা সুলতানা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগটি ইউএনওর দপ্তরে জমা পড়ে। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন হলে গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
লিখিত আবেদনে লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলার ঝাউতলা এম কে এন জি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি হিসেবে এক বছর দায়িত্ব পালন করি। আমি বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-কর্মচারীকে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চিনি। আমার দায়িত্ব পালনকালে এ স্কুলে মো. আব্বাস আলী নামের কোনো শিক্ষক ছিলেন না। এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাগজপত্রেও কখনো কোনো সময় ওই নামের কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর ডকুমেন্ট ছিল না। অথচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল, হাজিরাখাতা ও রেজুলেশন বই কাটাছেঁড়া করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আব্বাস আলী নামের এক ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে স্কুলে হাজির করে তার এমপিওভুক্তির (মানথলি পেমেন্ট অর্ডার) আবেদন করেন। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি যোগদান দেখিয়ে ওই আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে আব্বাস আলী বলেন, ‘আমি ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করি।’ তবে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের বিদ্যালয় সভাপতি লিয়কত আলী যে অভিযোগ তুলেছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাঁকে চিনি না। এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইনাল হক গায়েবি নিয়োগের প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, ‘এগুলো বিদ্যালয় এবং আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি মহলের ষড়যন্ত্র।’
ইউএনও ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’