অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন নুরজাহান বেগম।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। যদিও রাত ৮টায় তাদের শপথগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে গতকাল (৮ জুলাই) রাতে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও শপথ নেন ১৪ সদস্য। ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায়, সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকার বাইরে থাকায় তারা গতকাল শপথ নিতে পারেননি বলে শপথ অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মিসেস নূর জাহান বেগম ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছিলেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ড. ইউনূসের কাছ থেকে। তিনি এখন গ্রামীণ পরিবারের একটি অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রামীণ শিক্ষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে যখন নূর জাহান বেগম গ্রামীণ ব্যাংকের প্রকল্প শুরু করেন তখন তিনি ড. ইউনূসের প্রথমসারির সহযোগীদের একজন ছিলেন। মিসেস নুরজাহান, যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের তৃণমূল গোষ্ঠীতে দরিদ্র গ্রামীণ মহিলাদের সংগঠিত ও প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ব্যাংকের শুরুর দিকে এবং সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দিনে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রথম ‘প্রিন্সিপাল’ ছিলেন।
নূর জাহান বেগম অনেক দেশে মাইক্রো-ক্রেডিট প্রোগ্রামের পরামর্শদাতা, প্রশিক্ষক এবং মূল্যায়নকারী হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মেলন এবং সেমিনারে বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি গ্রামীণ ফাউন্ডেশন, ইউএসএসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার বোর্ডেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে গ্রামীণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক সুসান এম. ডেভিস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি ওয়ার্ল্ড সামিট মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ এবং ভিশন অ্যাওয়ার্ড ২০০৯-এ ভূষিত হন। তিনি ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত ফরচুন মোস্ট পাওয়ারফুল উইমেন সামিটে অংশগ্রহণ করেন এবং স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠিত ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতি নিযুক্ত হন ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে।