মো. লিটন হোসেন, দৈনিক শিক্ষাডটকম: আমাদের নিয়ে কোনো মিডিয়া কোনো ধরনের সংবাদ করেনি, একটু দুঃখই পেলাম না। আমরা ৩৫ প্লাস কেনো হলাম এটা কেউ বোঝেন না, সবাই শুধু ৩৫ প্লাসই বলেন। কেনো চার বছর আমাদের জীবন থেকে চলে গেলো, কী কারণে? এটা কেউ বোঝেন না।
এরপর যখন সার্কুলার হলো। অনেকে না বুঝে রিট করার কারণে পরবর্তীতে আমরা অনেক ধরনের চেষ্টা করেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবার। সবার একটাই কথা, আমরা বিভিন্ন এমপিকেও জিজ্ঞেস করেছি, তারা বলেছেন যেহেতু এখন এটা আইনে চলে গেছে আমাদের কিছুই করবার নেই। আপনাদের আইনটা শেষ হলে তারপর দেখা যাবে। তো আইনও শেষ হয়ে গেলো, আমরা এদিকে হেরেও গেলাম, এদিকে ডেটও শেষ। এখনো অনেকভাবে অনেকে চেষ্টা করছেন। এটা সম্ভব কি না জানি না।
কপি এখনো বের হয়নি। বিচারকের যে আচরণ ছিলো কঠিন। আমাদের ফাইলটা ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন আপনাদের এটা হবে না। তবে ওখানে রায়টা যেহেতু সংক্ষেপে লেখা আছে, ডিসক্লোজ অব। যতোটুকু শুনেছি, ডিসক্লোজ অব বলতে বোঝাচ্ছে একটা নিষ্পত্তি করে নিতে হবে। তবে এটা সরকারের পক্ষে গিয়েছে অনেকটাই। কথা বলার মাধ্যমে কোনো সমাধান আসলেও আসতে পারে। তবে যতোটুকু ধারণা করা হচ্ছে, এটা ওই আইন দিয়ে সম্ভব না।
রিট আমাদের পেছনে ফেলে দিয়েছে। এটা খুবই ভুল কাজ হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন এটা করেছেন। আমি নিজেও জানতাম না, জানলে আমি নিরুৎসাহিত করতাম। একজন রিট করলে সেটা সবার জন্যই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সবাই এখন আমরা বিপদে। এই বিষয়ে এনটিআরসিএর একটাই কথা, আপনারা যদি শিক্ষামন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্বাহী আদেশ আনতে পারেন, তাহলে সুযোগ দিতে কোনো সমস্যা নেই।
এখন বড় সমস্যা হলো আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারছি না। কোনোভাবেই না, কোনো এমপি ডিও লেটার দিচ্ছে না। সবাই ভাবছে ৩৫ প্লাস, কেউ সেভাবে আমাদের সময় দিচ্ছেন না। আবার কেউ বুঝতেও চাচ্ছেন না আমাদের বিষয়টা।
লেখক: ১৭তম নিবন্ধনধারী ৩৫ প্লাস
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন)