সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৩৪ শিক্ষার্থীসহ ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
তবে কী কারণে বা কোনো অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আটকদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপও নেয়নি তাহিরপুর থানা পুলিশ।
এর আগে রোববার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টায় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন নতুন বাজার (ডাম্পের বাজার) পাটলাই নদী দিয়ে টেকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাওয়ার পথে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে এ খবর জানাজানি হলে জেলা ও উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহিরপুর উপজেলা বাজারের নৌকা ঘাট থেকে রোববার সকাল ৭টায় একটি নৌকায় করে বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থী টাঙ্গুয়ার হাওরের ঘুরতে যায়। হাওরে ঘোরাঘুরির পর দুপুরে পাটলাই নদী দিয়ে টেকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাওয়ার পথে তাহিরপুরের নতুন বাজারের সামনে নৌকাটি পৌঁছায়। এ সময় পুলিশের দুটি স্পিডবোট পর্যটকবাহী নৌকাটিকে থামিয়ে চালক আহাদুল মিয়া, মুহাদ্দিস মিয়াসহ বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৬ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তবে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের থানা হেফাজত থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাহিরপুরের নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি শাহিনুর তালুকদার বলেন, রোববার বিকেলে নৌকার দুইজন চালকসহ বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানা নিয়ে গেছে। কী কারণে তাদের আটক করা হয়েছে, তা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি থানার ওসি। তিনি বলেছেন, পরে জানাবেন। কিন্তু দিন গিয়ে রাত পেরিয়ে দুপুর হলো এখনও তাদের আটকে রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিক্তিতে নাশকতার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলছে না।
এ বিষয়ে জানতে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেনকে ফোনে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে সরাসরি কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আটক সবাই বুয়েটের শিক্ষার্থী। বাকি বিষয়ে পরে জানানো হবে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস বলেন, ৩৪ পর্যটককে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে।
নাশকতার সন্দেহে কী তাদের আটক করা হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করছি। পরে জানানো হবে।