হাওর এলাকার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ এবং অধিকৃত জমিতে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে একটি সমীক্ষা প্রকল্প প্রস্তাবনার ওপর অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ আহ্বান জানান।
সোমবার (১৭ জুলাই) ইউজিসিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প করা যাবে না। অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের ফলে হাওর ও উপকূলে বন্যা ও জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই, হাওর এলাকায় জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ ও প্রকৃতির গতি প্রকৃতিকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক প্রভাব বিবেচনায় নিতে হবে। এছাড়া, জলাধার ভরাট না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু নঈম শেখ, রেজিস্ট্রার জিএম শহিদুল আলম, ইউজিসির উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভুঁইয়া, অতিরিক্ত পরিচালক শাহ্ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য প্রফেসর আবু নঈম শেখ নবপ্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ, নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জিএম শহিদুল আলম উন্নয়ন প্রকল্পের নানাদিক তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ৪৭তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পাস হয়।
উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়।