হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। এখন হাজিদের দেশে ফেরার পালা। বাংলাদেশি হাজিদের দেশে ফেরাতে ফ্লাইট শুরু হবে আগামী রবিবার (২ জুলাই) থেকে, চলবে ২ আগস্ট পর্যন্ত।
বাংলাদেশ থেকে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ ১,২২,৮৮৪ জন সৌদি আরবে গিয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১,১৮০ জন হজযাত্রী। সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১,৪৬৮ জন হজযাত্রী। ফ্লাইনাস পরিবহন করেছে ৫৩টি ফ্লাইটে ২০,২৩৬ জন হজযাত্রী।
সৌদি আরবে সর্বমোট ইন্তেকাল করেছেন ৪৩ জন হাজি। এরমধ্যে পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী ৮ জন।
এদিকে হজযাত্রীদের লাগেজে জমজমের পানি না আনার পরামর্শ দিয়েছে এয়ারলাইনগুলো। তারা জানিয়েছে, হজযাত্রীদের সৌদি পৌঁছানোর সময় ফিরতি ফ্লাইট খালি থাকায় বিমানে জমজমের পানি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকল হাজিদের জন্য জমজমের পানি মজুত রয়েছে। হাজিরা বাংলাদেশে আসলেই তাদের প্রত্যেকে পাঁচ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স পাবেন। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম অথবা সিলেটে বিমানবন্দরেও একই রকমভাবে জমজমের পানি পাবেন হাজিরা।
এয়ারলাইনগুলো জানিয়েছে, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজির জন্য ৫ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। তার বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনও হাজি লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা বিমানে তুলতে দিবে। একই রকমভাবে অনেক হাজি সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটিও নিষিদ্ধ।