চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদরাসা ও এতিমখানার পাশে মাজার নির্মাণে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষ, মাজার ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড মৌলভীপাড়ার পশ্চিমে আর রবিয়া হামিদ আলী তাহফিজুল কোরআন মাদরাসা ও এতিমখানা এবং আন নূর মহিলা মাদরাসার পাশে মাজার নির্মাণে বাধা দেয়ায় এলাকাবাসীর সঙ্গে বিতর্ক ও সংঘর্ষে জড়ায় হুমায়ন বশর প্রকাশ হিরু নামের এক কবিরাজ-জাদুকর। এনিয়ে গত শুক্রবার সকালে মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নুরুল আবছারকে ওই কবিরাজ মারধর করে।
এ সময় জুনু সওদাগরের ছেলে আরিফ ভাই ও নুরুল আবছার হুজুর এখানে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি এখন অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ওই এলাকার সরদার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, হিরুর চরিত্রের সঙ্গে মাজার কোনোভাবেই যায় না। হিরু একজন ভণ্ড কবিরাজ। সে নিজেকে বাংলার হিরু ও জাদুকর দাবি করে এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। সে একজন রোহিঙ্গা। এই এলাকায় বসবাসের পাশাপাশি সে ইয়াবা ব্যবসা ও মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করে, নাচগান করে।
এ নিয়ে আমরা প্রশাসনকে অনেকবার অবগত করেছিলাম। সে সকলকে মাশোহারা দিয়ে আসছে বলে দাবি করে। মাদরাসার পাশে সরকারি জায়গা দখল করে মাজার নির্মাণে নুরুল আবছার হুজুর আপত্তি করায় ভণ্ড কবিরাজ হুজুরকে অতর্কিতভাবে হামলা করে। কবিরাজের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাটি মিথ্যা। মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম, আর রবিয়া হামিদ আলী তাহফিজুল কোরআন মাদরাসা ও এতিমখানা, আন নূর মহিলা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মো. নুরুল আবছার বলেন, মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও একটি মাদরাসার দায়িত্ববান হিসেবে আমি এই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছি। মাদরাসার পাশে সরকারি জায়গা দখল করে ভণ্ড কবিরাজ হিরু মাজার নির্মাণ করে আসছিল। মাজার নির্মাণ কাজের পাশাপাশি অবৈধ মহিলা এনে নাচগান করায়। আমি আপত্তি জানাইলে সে আমাকে মারধর করে। আমি ঘটনাটি বড় হুজুরকে জানিয়েছি। তিনি আইনি পরামর্শ দেন।
হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ইয়াহিয়া বলেন, নানারকম কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসের নাগপাশে আবদ্ধ হয়ে অন্ধকারে তলিয়ে যেতে বসেছে ওই এলাকা। নুরুল আবছার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। ঘটনাটি দেখার জন্য আমি ওসি সাহেবকে বলেছি। তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন। হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ বলেন, মৌলভীপাড়ার পশ্চিমে মাদরাসার পাশে মাজার নির্মাণে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।