ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা কলেজের দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন। বুধবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্যরা।
কলেজ প্রশাসন সিটি কলেজের সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি এ হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ৯টি দাবির কথা জানানো হয়। সেগুলো হলো :
১. দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদেরকে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারাও আহত হয়েছেন;
২. আমাদের স্থাপনা সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাংচুর করেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জানজক। এ হামলায় সংশ্লিষ্ট জড়িত প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩, বিশেষ করে, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে; ৪. ইতিপূর্বেকার সব বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সিটি কলেজের কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী দোষী সাবস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে স্থানান্তর করতে হবে; ৫. সিটি কলেজের যেসব শিক্ষক এই নিন্দনীয় ঘটনা সরাসরি নির্দেশ ও জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে; ৬. এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে; ৭. হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ৮. বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ এবং পুলিশ জড়িত ছিল; ৯. ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সব দাবি মেনে ঢাকা কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।