দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের কাছে তিনি সম্প্রতি যোগদানপত্র পেশ করেন। যোগদান শেষে তিনি ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এসময় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণার মানোন্নয়ন ও রূপান্তরে হিট প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার হবে।
প্রফেসর আসাদুজ্জামান চুয়েট থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কোরিয়ার ইউনিভার্সিটি অব উলসান থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জলবায়ু প্রভাব প্রশমিতকরণে নবায়নযোগ্য শক্তি ও ওয়াইফাই সেন্সিং ভিত্তিক মাটির গুণমান এবং ফসলের বৃদ্ধি বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করেন।
এছাড়া তিনি চুয়েটে আইআইসিটির পরিচালক, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) প্রতিষ্ঠাসহ বেসিক কম্পিউটার নেটওয়ারর্ক স্থাপনের সাথে যুক্ত ছিলেন। স্কোপাসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ৫৮টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে তিনি দেশ বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পাঁচ বছর মেয়াদি হিট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৫০.৯৬ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার, অন্যদিকে ৪৯.৪ শতাংশ বহন করবে বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পে বাজার চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা কোর্স প্রবর্তন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের জন্য একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং দেশের উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী মহিলা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক স্থাপন, বাংলাদেশ গবেষণা ও শিক্ষা নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের কার্যাবলী বাস্তবে রূপান্তর করা, ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা, প্রতিযোগিতামূলক গবেষণার উদ্ভাবনী প্রকল্প চালু করা, শ্রম বাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ফ্যাকাল্টি ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, ক্রেডিট ট্রান্সফার, শিক্ষকদের দেশবিদেশে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগসহ বহুমুখী কার্যাবলী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।